সর্বশেষ আপটেড

বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান করার ক্ষেত্রে যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা কেমন আছো? আশা করছি ভালো আছো। বর্তমানে যেহেতু কোভিড পরিস্থিতিতে আমরা সবাই ঘরে অবস্থান করছি। এই সময়টাকে আমরা বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারি। আজকের আলোচনার বিষয়- বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান করার ক্ষেত্রে যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং বাগান তৈরীর মাধ্যমে যেভাবে লাভবান হওয়া যায় তার বর্ণনা।

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ও বিদ্যালয়ে যাওয়া তোমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অবসর সময়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য তুমি বাড়ির আঙ্গিনায়/ছাদে বাগান করার সুযোগ পেলে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিচের ছক ও বিবেচ্য বিষয় অনুসারণ করে একটি ধারণাপত্র তৈরি করো।

বিবেচ্য বিষয় :

  • বাগানে তুমি কি কি গাছ লাগাতে চাও?

  • বাগান করতে তুমি কি কি সম্পদ ব্যবহার করবে?

  • এ কাজের মাধ্যমে তুমি কিভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছো?

বর্তমানে যেহেতু কোভিড পরিস্থিতিতে আমার ঘরের বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না ; তাই এই সময়টাকে আমি কাজে লাগাতে চাই।

এই পরিস্থিতিতে অবসর সময়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য আমার বাড়ির আঙিনায় আম বাগান তৈরি করতে চাই। এতে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায়।

আমার লক্ষ্য অর্জন করার জন্য অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আমাদের যে সম্পদ আছে তার ব্যবহার, পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন করাকে এক কথায় গৃহব্যবস্থাপনা বলে।

  • পরিকল্পনা :

গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ হলো পরিকল্পনা প্রণয়ন। কোন কাজ করতে গেলে কাজটি কেন করা হবে, কিভাবে করতে হবে ইত্যাদি চিন্তাভাবনা করার নামই পরিকল্পনা।

পরিকল্পনাকে অনুসরণ করলে পরবর্তী কাজগুলো সহজ হবে। আমি যেহেতু বাগান করতে চাই, তার জন্য অবশ্যই একটি পূর্ব পরিকল্পনা রাখতে হবে।

আমি কোথায় বাগান করব, কিভাবে করব, বাগান করার সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে একটি পরিকল্পনা করব। সেই সাথে আমি ঠিক করে নিবো আমি বাগানে কোন কোন গাছ লাগাব।

আমার কখনো বাগান করার সুযোগ আসলে আমি বাগানটিতে গোলাপ, টগর, লেবু গাছ, পেয়ারা গাছ, বেগুন গাছ ও শসা গাছ লাগাব।

  • সংগঠন :

পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন কাজের সংযোগ সাধন করার নামই সংগঠন। কোন স্তরে কোন কাজ করলে ভালো হবে, কোন কাজে কাকে নিয়োজিত করা হবে, কি কি সম্পদ ব্যবহার করা হবে এসব বিষয় ঠিক করাই সংগঠন।

আমার বাগান করার ক্ষেত্রে কি কি সম্পদ ব্যবহার করব সেটা ঠিক করবো। যেহেতু এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব না, তাই কাকে নিয়োজিত করতে পারি, সেসব আগে থেকেই ঠিক করে নিবো। এতে আমার পরিকল্পনালব্ধ কাজের বাস্তবায়ন সহজতর হবে।

এক্ষেত্রে আমি সিদ্ধান্ত নিব যে আমি কোন কোন সম্পদ ব্যবহার করব। যেমন- পরিশ্রম, সময়, শক্তি, জ্ঞান, দক্ষতা, অর্থ এবং ভূমি।

  • নিয়ন্ত্রণ :

গৃহীত পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেওয়া ও সংগঠনের বিভিন্ন ধারাকে কার্যকর করে তোলাই হলো নিয়ন্ত্রণ। গৃহ ব্যবস্থাপনার তৃতীয় এ স্তরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

পরিকল্পনা যতই ভালো হোক তা যদি বাস্তবায়ন না করা যায়, তাহলে কখনই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। নিয়ন্ত্রণ কয়েকটি স্তরে কাজ করে।

প্রথমে পর্যায়ের কাজে সক্রিয় হতে হবে। তাহলে উদ্যোগ নিয়ে কাজটি শুরু করা যাবে। বাগান করার ক্ষেত্রে কে কি কাজ করব, কিভাবে করব তা ঠিক করে রাখবো। তাহলে কাজ শুরু করা সহজ হবে।

আমি বাগান করার জন্য মাটি খনন করব। তারপর চারপাশে বেড়া দিব। এরপর সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ লাগাব।

দ্বিতীয় পর্যায়ে সবার কাজের অগ্রগতি লক্ষ্য করবো। ঠিক সময়ে সঠিকভাবে কাজটি শেষ করার চেষ্টা করবো।

তৃতীয় পর্যায়ে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করবো।

যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে গৃহীত পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন এনে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।

  • মূল্যায়ন –

গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ ধাপ হলো মূল্যায়ন।

বাগান করার সময় যে গাছগুলো লাগিয়েছি, সেগুলো ঠিকমত হচ্ছে কিনা বা ফল বা ফুল দেওয়ার উপযোগী কিনা তা যাচাই করবো।

কোনো কাজ সম্পন্ন করে এর ফলাফল যাচাই করার নামই হলো মূল্যায়ন।

যদি ফলাফল ভালো হয়, তাহলে লক্ষ্য অর্জিত হলো।

আর যদি লক্ষ্য অর্জন না হয়, তবে কোথায় ভুল হয়েছে বা ব্যর্থতার কারণ নির্ণয় করে তা সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাগান তৈরীর মাধ্যমে আমি যেভাবে লাভবান হতে পারি তা নিচে বর্ণনা করা হলো –

  • বাগান তৈরীর করার ফলে বাসায় বসে বসে যে একঘেয়েমি ভাব চলে আসলো সেটা দূর হবে।
  • এছাড়া বাগানের বিভিন্ন ফুল, ফল ও গাছ গুলো মানসিক প্রশান্তি প্রদান করবে।
  • বাগানের লাগানো ফল গাছগুলো বিভিন্ন ঋতুতে সুমিষ্ট ও স্বাস্থ্যকর ফল দিবে; যা আমাদের ক্ষুধা মিটে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এভাবেই আমি বাগান তৈরীর মাধ্যমে লাভবান হতে পারি।

 

আরো দেখুন-

তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে

দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে।

তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো- গ্রুপ লিংক- facebook.com/groups/banglanotice

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ